মোঃ শাহেদ উদ্দিন হাতিয়া উপজেলা প্রতিনিধি
৩নং সুখচর ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক পদপ্রার্থী মোঃ ফিরোজ উদ্দিনের বাবা। মোঃ রফিক মিয়া। ওরফে রফিক পাটি। ২০২২ সালে ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মেম্বার প্রার্থী হওয়ায় আনন্দ মিছিল করেন। দিনের ভোট রাতে করা। স্বৈরাচার এম পি আয়েশা ফেরদৌস। কিন্তু হাতি উপজেলা নির্বাচন। পোরসভা নির্বাচন। ইউনিয়ন নির্বাচন। সহ সকল কিছু নিয়ন্ত্রণ করেন মোহাম্মদ আলী। মেম্বার হওয়ার জন্য তখন ২০২২ সালে মোহাম্মদ আলীর বাসায় গিয়ে ধরনা ধরেন এই রফিক পাটি। গত ৫ ই আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার এর পরে এই রফিক পাটি বলেন ওনি বিএনপির ত্যাগী নেতা। এক সময় বিএনপি করতাম চাপে পড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছি। ব্যাবসা বাণিজ্য টিকাতে আওয়ামী লীগের সাথে চলছি। মামলা থেকে বাঁচতে আওয়ামী লীগ করছি। নোয়াখালী জেলা ছাত্রদলের সহ সাধারণ সম্পাদক মোঃ আজমির হোসাইন আখির সাহেব ওনাকে জিজ্ঞাসা করলে ওনি বলেন। দীর্ঘ এই ষোল বছর বিএনপি করতাম কিন্তু ব্যাবসা বাণিজ্য মামলা হামলা থেকে বাঁচতে বিএনপির কোন সভা সমাবেশে উপস্থিত ছিলাম না। আজমির হোসাইন আখির সাহেব আরো বলেন। আপনি এইটা কেমন বিএনপি করেছেন। যেখানে দলের হাইকমান্ডের লোকজন জেল হাজতে গেলো। কত মিথ্যা মামলা হামলার শিকার হয়েছেন। তাহলে আপনি এইটা কেমন বিএনপি করেছেন বলেন। যে লোক ২০২২ সালে তার বাবা রফিক মিয়া কে মেম্বার বানানোর জন্য মোহাম্মদ আলীর বাসায় গিয়ে ধরনা ধরেছেন। সেই ফিরোজ এখন ৩নং সুখচর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক পদপ্রার্থী কি ভাবে দাড়িয়েছে। এই ফিরোজ কে ৫ ই আগস্টের আগে স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য হতে ও রাজি ছিলেন না। ৫ ই আগস্টের আগে এই রফিক মিয়া কে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি দেওয়ার জন্য কথা বললে। রফিক মিয়া সরাসরি না করে দেন। তাহলে ওনি এখন এতো ত্যাগী বিএনপি কোথায় থেকে আসলো। এইটার সকল দায়িত্ব উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের। মোঃ আদনান ভাই। এবং সুমন তালুকদার ভাই কে দেখার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।।।।