অমল বোস, আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনাকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দুই নেতার মধ্যে এটিই প্রথম বৈঠক।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস হাসিনার প্রত্যর্পণ, সীমান্ত হত্যা ও পানিবণ্টন নিয়ে আলোচনা করেন।
দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারতের জনকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে নরেন্দ্র মোদি জোর দিয়ে বলেন, দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা দুই দেশের জনগণের জন্য কল্যাণ বয়ে এনেছে।
তিনি বলেন, ‘সীমান্ত নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং অবৈধ সীমান্ত অনুপ্রবেশ, বিশেষ করে রাতে অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ করা অত্যন্ত জরুরি। দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা আমাদের সম্পর্ক পর্যালোচনা ও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।’
এছাড়া, নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের কথাও তুলে ধরেন।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং তাদের ওপর হামলার ঘটনাগুলোর পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তও করবে।’
বাংলাদেশ বিমসটকের চেয়ারের দায়িত্ব গ্রহণ করায় ড. ইউনূসকে অভিনন্দন জানান মোদি এবং এই ফোরামের নেতৃত্বে আঞ্চলিক সহযোগিতা আরও এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।