মোঃ সোলায়মান আখন্দ, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি
বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা এবং গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, বর্তমান সংবিধানকে অস্বীকার করে নতুন সংবিধান প্রণয়নের চিন্তা একেবারেই অযৌক্তিক। দীর্ঘদিন ধরে এই সংবিধানের ভিত্তিতেই দেশ পরিচালিত হয়েছে এবং জনগণও সেটি মেনে নিয়েছে। তাই এটিকে ছুঁড়ে ফেলে নতুন সংবিধান প্রণয়ন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ‘৭২-এর সংবিধান ও প্রস্তাবিত সংস্কার’ শীর্ষক এই সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি।
ড. কামাল হোসেন বলেন, “সংবিধানকে ফেলে দিয়ে নতুন সংবিধান প্রণয়ন কোনো সংস্কার নয়, বরং এটি সংবিধান ধ্বংসের পথ। সংবিধান পুনর্লিখনের ধারণাটাও ভুল। তবে, সময়ের প্রয়োজনে সংবিধানে সংস্কার করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা সম্ভব।”
আলোচনা সভায় সংবিধানের ব্যাপক সংস্কারের বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। তিনি বলেন, “বর্তমান বাস্তবতায় রাজনৈতিক দলগুলো রাজনীতি থেকে দূরে সরে গেছে কিংবা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে গণতন্ত্রের নামে রাজনৈতিক দলগুলো দ্রুত পা রাখার জায়গা খুঁজে পাবে না। অল্প অল্প করে, পর্যায়ক্রমে পরিস্থিতির উন্নতির দিকে এগোতে হবে।”
সভায় আইনজীবী, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও বিশিষ্টজনরা অংশ নেন এবং সংবিধান সংস্কারের বিভিন্ন দিক নিয়ে তাঁদের মতামত তুলে ধরেন।