নিজস্ব প্রতিবেদক
“আ.লীগ নেতার ঝুট ব্যবসার নিরাপত্তায় যুবদল নেতা,পিটিয়েছেন ছাত্রদল নেতাকেও”এমন শিরোনামে সাপ্তাহিক জনতার নিঃশ্বাস ও দৈনিক মুক্ত কাগজে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সেই যুবদল নেতা এমদাদ সিকদার। তবে সংবাদ সম্মেলনের প্রায় পুরোটা অংশই ছিল গুঁজামিল ও ধোঁয়াশায় ভরপুর।
সংবাদ সম্মেলনের এক জায়গায় তিনি দাবি করেছেন ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গাজীপুর জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক (দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত) আলহাজ্ব আবু বকর ছিদ্দিক ইউনিম্যাক্স নামক কোম্পানীর ব্যবসা নেয়ার জন্য ছাত্রদল নেতা জসিমকে পাঠিয়েছেন আবার একই সাথে তিনি দাবি করেছেন সাংবাদিক আবু বকর সিদ্দিক তার ব্যবসার ৭০ শতাংশ না পেয়ে উদ্দ্যেশ্যপ্রণোদিত ভাবে সংবাদ প্রকাশ করেছেন। এখানে মূলত কে ব্যবসা নিতে চেয়েছেন তা পরিস্কার করতে পারেনি যুবদল নেতা এমদাদ সিকদার । তার উত্তরের স্বপক্ষে কোন প্রমাণও দিতে পারেননি তিনি। এমনকি সাংবাদিক আবু বকর সিদ্দিকের সাথে কোন দিন তার কথা হয়নি এবং তিনি কোন পদে রয়েছেন সেটিও জানেন না বলে জানান এমদাদ। অন্যদিকে ছাত্রদল নেতা জসিম পড়ে গিয়ে ব্যথা পেয়েছে বলে দাবি করলেও তিনি বিভিন্ন জায়গায় বলেছেন জসিম তার লোকদের মারধোর করেন। অন্যদিকে তিনি প্রথম দিকে ছাত্রদল নেতা জসিম ৫ই আগস্টের পর ছাত্রলীগ থেকে ছাত্রদলে যোগদান করেছে বলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলেও সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন জসিম ২০১৭ সালে ছাত্রলীগ করলেও ২০২০ সালে জসিম মুক্তিযোদ্ধা ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক নির্বাচিত হন।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন দুটি পত্রিকায় তার বক্তব্য না নিয়েই তার উদ্বৃতি দিয়ে বলা হয়েছে তিনি বড় মাস্তান। অথচ এবিষয়ে জনতার নিঃশ্বাস ও দৈনিক মুক্ত কাগজ পত্রিকার কোন নিজস্ব মন্তব্য ছিল না। ছাত্রদল নেতা জসিমের বক্তব্য উদ্বৃতি দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়।( যে ভিডিও সংরক্ষিত রয়েছে।) তিনি বার বার সংবাদ সম্মেলনে নিজের দায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও আওয়ামীলীগ নেতা আমজাদের সাথে তার ব্যবসায়ীক সম্পর্কের বিষয়ে কোন তথ্যই দেননি অথচ সংবাদের মূল বিষয়টিও ছিল এটি। জনতার নিঃশ্বাস ও দৈনিক মুক্ত কাগজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিলো আওয়ামীলীগ নেতা আমজাদ হোসেনের নামে ওয়ার্ক অর্ডার ও যুবদল নেতা এমদাদ সিকদার নিজের নামে কোটেশন জমা দিয়েছেন সংবাদ সম্মেলনেও তিনি কোটেশন জমা দিয়েছিলেন যেখানে সংবাদের সত্যতা তিনি নিজেই স্বীকার করে নেন।
সংবাদ সম্মেলন আয়োজনে প্রথমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম থাকলেও শেষ পর্যন্ত রহস্যজনক কারণে সেটি সাদা কসটেপে ঢেকে দেয়া হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি দাবি করেন তিনি ৫ই আগস্টের পর চাকরিচ্যুত হন, কিন্তু ছাত্রদল ও যুবদল করা এই নেতা আওয়ামীলীগ সরকারের পুরোটা সময় বীরদর্পে চাকরি করে গেলেও ছাত্রজনতার বিপ্লবের পর নতুন সরকার গঠনের পরপরই ঠিক কি করণে তার চাকরিচ্যুত হলের সেটিও অস্পষ্ট রেখে গেছেন। তিনি সংবাদ সম্মেলনের এক জায়গায় উল্লেখ করেন দলের ছেলেদের চা খাওয়ার জন্য ঝুট ব্যবসা নিয়েছি।
এমন অসংখ্য প্রশ্নের ধোঁয়াশা রেখেই শেষ করলেন গুঁজামিলের সংবাদ সম্মেলন।
এদিকে ছাত্রদল নেতা জসিম ন্যায্য বিচার চেয়ে জেলা ও কেন্দ্রীয় যুবদল বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।