মোঃ রুবেল মিয়া,ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি।
ময়মনসিংহে সরকারি চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অসহায় মানুষদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে একটি সংঘবদ্ধ চক্রের বিরুদ্ধে।এই চক্রের মূল হোতা হিসেবে অভিযুক্ত হয়েছেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার চর নিখলা গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে মোঃ রমজান আলী যিনি বাংলাদেশ আনসার বাহিনীর একজন সদস্য।তার সহযোগী হিসেবে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনে কর্মরত মামুন এবং মফিদুল নামে আরেক ব্যক্তির নামও উঠে এসেছে যাকে রমজানের দালাল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।ভুক্তভোগীদের অভিযোগ এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে চাকরির মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে নিরীহ ও দরিদ্র মানুষদের সর্বস্বান্ত করে আসছে।প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায় মোঃ রমজান আলী আনসার বাহিনীতে চাকরিরত থাকলেও তিনি মূলত দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের একটি বলয় তৈরি করেছেন।সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারী মামুন এবং দালাল মফিদুলকে নিয়ে গড়া এই চক্রটি চাকরির নিশ্চয়তা দিয়ে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার পরানগঞ্জ ইউনিয়নের দেলোয়ার হোসেন এবং ফুলপুর উপজেলার বিধুসহ অসংখ্য বেকার যুবকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।ভুক্তভোগী দেলোয়ার ও বিধু দুজনেই অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান।একটি নিশ্চিত চাকরির আশায় তারা চড়া সুদে ঋণ নিয়ে রমজান আলীর হাতে টাকা তুলে দেন।কিন্তু চাকরি তো মেলেইনি, উল্টো এখন ঋণের দায়ে ভিটেমাটি হারানোর আশঙ্কায় দিন কাটছে তাদের।এই প্রতারণার বিষয়ে জাতীয়তাবাদী প্রজন্মদল ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক জনাব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি জানান বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত এবং ভুক্তভোগীদের টাকা উদ্ধার ও একটি সুষ্ঠু সমাধানের জন্য তিনি
একাধিকবার চেষ্টা করেছেন।কিন্তু অভিযুক্ত রমজান আলী ও তার সহযোগীরা অত্যন্ত ধূর্ত প্রকৃতির।বারবার মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে এবং গা ঢাকা দিয়ে তারা বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন।জনাব জাহাঙ্গীর বলেন,"এত গুরুতর অভিযোগ থাকার পরেও রমজান আলীর মতো ব্যক্তিরা কীভাবে সরকারি দায়িত্বে বহাল থাকেন তা বোধগম্য নয়।এই ব্যাপারটি নিয়েই মন্তব্য ব্যাক্ত করেছেন বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক ফোরাম ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ রায়হান তানভীর এই ঘটনাকে সমাজের গভীরে প্রোথিত দুর্নীতির একটি অংশ হিসেবে দেখছেন।তিনি বলেন"রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বেড়ে ওঠা এইসব দুর্নীতিবাজ যদি সমাজে টিকে থাকে তাহলে যেকোনো ইতিবাচক সামাজিক পরিবর্তন বা গণজাগরণ অর্থহীন হয়ে পড়বে।এদের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।সরকারের উচিত প্রশাসনিকভাবে এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া এবং নিশ্চিত করা যেন বাংলাদেশের মাটিতে এদের কোনো স্থান না হয়।ভুক্তভোগী পরিবারগুলো এবং এলাকার সচেতন জনগণ এই দুর্নীতিবাজ চক্রের হাত থেকে মুক্তি পেতে এবং তাদের খোয়ানো অর্থ ফেরত পেতে সরকারের দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।তারা আশা করছেন প্রশাসন দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং যেন আর কেউ এমন প্রতারণার শিকার না হয় তা নিশ্চিত করবে।