মোঃ রুবেল মিয়া ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি।
ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ০৩ নং বোরর চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সাব্বির হোসেনের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার ব্যাপক দুর্নীতি এবং এলাকায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।অভিযোগকারীরা বলছেন তিনি অবৈধ অর্থ ও প্রভাব খাটিয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন এবং এখন সেই অর্থ তুলে নিতে বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছেন।এছাড়া তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা থাকা এবং এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার অভিযোগও রয়েছে যা নিয়ে স্থানীয় জনসাধারণ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জনাব সাব্বির হোসেন মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীক নিশ্চিত করেন।এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আফজালুর রহমান বাবুর কথিত পরামর্শে একটি 'সাজানো' নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি চেয়ারম্যান পদে আসীন হন বলেও অভিযোগ রয়েছে।নির্বাচনী প্রচারণার সময় শহর থেকে বিপুল খরচে লোক ভাড়া করে আনা এবং এলাকার কিছু বিপথগামী যুবককে অর্থের বিনিময়ে নিজের পক্ষে ব্যবহার করার অভিযোগও তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত হয়েছে।নির্বাচনে জয়লাভের পর এই বিপুল অর্থ পুনরুদ্ধারে চেয়ারম্যান সাব্বির দুর্নীতিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বলে অভিযোগকারীরা দাবি করেছেন
।
ইউনিয়নের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ ও কার্যক্রমে অনিয়মের পাশাপাশি,তার বিরুদ্ধে পরানগঞ্জ,বোররচর সহ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীদের উস্কানি দিয়ে এবং অর্থ সহায়তা করে মিছিল,ভাংচুর ও বিস্ফোরণের মতো ঘটনা ঘটিয়ে অরাজকতা সৃষ্টির অভিযোগও উঠেছে।এই সংক্রান্ত একটি বিস্ফোরক মামলা ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানায় তার বিরুদ্ধে বিচারাধীন রয়েছে বলেও জানা গেছে।এই পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জনসাধারণ।তিনি বলেন সাব্বির তার কালো টাকার জোরে আওয়ামী লীগ নেতাদের ব্যবহার করে ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে,যার ফলে এই এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে।জনাব জাহাঙ্গীর আরও বলেন, "টাকার বিনিময়ে পাতানো নির্বাচনে চেয়ারম্যান হওয়া এই ব্যক্তি এখনো ক্ষমতা ধরে রেখেছেন,যা সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র অসন্তোষের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনগণ এই অবস্থা থেকে মুক্তি চায়।