ক্রাইম রিপোর্টার
গত ১০ সেই ফেব্রুয়ারি সোমবার চট্টগ্রামের হালিশহর থানা পুলিশের চোরাই গাড়ির অভিযান পরিচালনা করা হয়।
চোরাই গাড়ির অভিযান পরিচালনায় বেশ কিছু গাড়ি চোরাই সন্দেহে আটক করা হয়।
সেই সময় চোরাই গাড়ি সন্দেহের অভিযোগ দেখিয়ে হালিশহরের বসুন্ধরা আবাসিক ৩ নম্বর রোড অটোরিকশার গেরেজ থেকে আনুমানিক বিকাল ০৬.০০ টার সময় মোঃ মিল্টন নামের এক ব্যক্তিকে ও দুইটি অটোরিকশা সহ থানায় ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে।
আশেপাশে লোকজন সহ সকল তথ্য প্রমান পাওয়া যায় প্রকৃত পক্ষে গাড়ির মালিক মোঃ মিল্টন, তারপরেও নগদ ৭০, হাজার টাকা দিতে বাধ্য করেন মোঃ মিল্টন কে এস, আই জিয়া ও এ, এস আই রবিকুল।
টাকা না দিলে গাড়ি দেওয়া হবে না বরং চোরাই গাড়ির অভিযোগে মোঃ মিল্টন মিয়াকেও চালান করে দেওয়ার হুমকি দেন, এ ,এস, আই রবিকুল।
কোনো উপায় না পেয়ে নগদ ৭০, হাজার টাকা দিয়ে ছুটে আসেন মোঃ মিল্টন।
একোই অভিযোগে হালিশহরে নয়াবাজার এলাকার ডেন্টাল হসপিটালের সামনে থেকে প্রকাশ্য দিবালোকে জনতার সামনে থেকে আব্দুল মান্নান কে সহ দুটি অটোরিকশা চোরাই গাড়ি ক্রয়ের অভিযোগে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
আব্দুল মান্নান ১০, হাজার টাকার বিনিময়ে ছুটে আসেন বলে যানান,আরো যানান গাড়ি ছাড়িয়ে আনার জন্য তাকে গুনতে হয়েছেন আরো ৬৫,হাজার টাকা এবং ৩, হাজার টাকা মূল্যের অটোরিকশার চার্জারো ফেরত দেননি বলে জানান আব্দুল মান্নান।
চোরাই গাড়ির অভিযানে ,আরো একটি গাড়ি হালিশহর নয়াবাজার আব্দুল মান্নানের অটো রিক্সার গ্যারেজ থেকে একটি গাড়ি জব্দ করে এই গাড়ির প্রকৃত মালিক মোঃ পাপ্পু নামের এক ব্যক্তিকে অটোরিকশা সহ প্রকাশ্য জনতার সামনে থেকে ধরে নিয়ে আসা হয়। গাড়ির সকল তথ্য প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও গুনতে হয় ৭০, হাজার টাকা বলে জানান পাপ্পু।
গত ৬ ই ফেব্রুয়ারি হালিশহরের বসুন্ধরা আবাসিক ৩ নং রোড একটি অটো রিক্সা গ্যারেজে অটোরিক্সা মেরামতের সময় চোরাই গাড়ির অভিযানে রিক্সার গ্যারেজ থেকে চোরাই গাড়ির ব্যবসায়ী সন্দেহের অভিযোগে ঐ এলাকার আনোয়ার ওরফে জামাই নামের এক ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে যায় উপস্থিত জনসম্মুখে হালিশহর থানা পুলিশ।
কোনো তথ্য প্রমাণ না থাকায় মিথ্যা ভয় ভীতি দেখিয়ে আনোয়ার ওরফে জামাইয়ের কাছে ,১ লক্ষ্য ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন ঐ থানার এস,আই,জিয়া ও এ,এস, আই রবিকুল এতো টাকা দিতে অস্বীকার করলে দর কষাকষির এক পর্যায়ে ৭০ হাজার টাকা যদি না দেওয়া হয় তবে আনোয়ার ওরফে জামাইকে কে জেলে দেওয়ার কথা বলেন ডেভিড হ্যান্ড এর এই অপারেশনে আওয়ামী লীগের কর্মী বানিয়ে। একপর্যায়ে নিজেকে বাঁচাতে রাজি হয়েই ৭০ হাজার টাকা ম্যানেজ করে দিয়ে অনুমানিক রাত ০২:০০ সময় বাড়ি ফিরে আসেন আনোয়ার ওরফে জামাই।
হালিশহরে বসুন্ধরা আবাসিক ৩ নাম্বার রোড এক ব্যক্তি নাম বলতে অনিচ্ছুক, বলেন সকল ঘটনা জনসম্মুখেই ঘটেছে, এখানে সাধারণ মানুষকে হয়রানির স্বীকার ও চাঁদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আমরা অনিরাপদ যখন আইনের রক্ষক রাই ভক্ষক হয় তখন আস্থা রাখার যায়গা থাকে না বলে জানান,,আরো জানান এরকম কিছু অল্প সংখ্যক দুর্নীতি বাজ দের কারনেই বাংলাদেশের সকল পুলিশ জাতির কলঙ্ক তাই আইনের প্রতি আস্থা কমে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের,,তবু এই কাণ্ড কলাপের বিচার চায় সাধারণ জনতা।
ভুক্তভোগী মোঃ মিল্টন, আব্দুল মান্নান, পাপ্পু ও আনোয়ার ওরফে জামাইয়ের বক্তব্যে চার জনেই বলেন হয়রানি সহ চাঁদাবাজির বিষয়টির শাস্তির দাবি,সেই সাথে বলেন এরকম জঘন্য তম কাজ যেন কারো সাথেই করার সাহস না পায় প্রশাসনের উপর মহলের কাছে তাদের আকুল আবেদন।
এদিকে এ,এস,আই রবিকুল কে মুঠোফোনে কল করে এ ঘটনা জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন , আরো বিস্তারিত দেখতে চোখ রাখুন দ্বিতীয় পর্বে।