মোঃ আবিদ হাসান,পাবনা প্রতিনিধি।
পাবনা জেলাধীন সুজানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যলয়ে বিপ্লবী ছাত্র জনতার হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন উপজেলা জামায়াতের চার নেতা।চার জামায়াত নেতা হলেন যথাক্রমে উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ফারুক-ই আজম,উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি টুটুল বিশ্বাস,শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি ওয়ালিউল্লাহ বিশ্বাস,সাবেক কাউন্সিলর মোস্তাক আহমেদ।প্রত্যদর্শীরা জানান,দুপুরে জামায়াতের উল্লেখিত চার নেতা কোনো একটি কাজে ইউএনও অফিসে যান।কিন্তু ইউএনও অন্য একটি কাজে ব্যস্ত থাকায় জামায়াত নেতারা অফিসে বসে থাকেন।এ সময় উপজেলা বিএনপির সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মজিবর রহমানের নেতৃত্বে কয়েকজন বিএনপি নেতাকর্মীও ইউএনও কাছে কাজে যান।সেখানে আগে থেকেই বসে থাকা জামায়াতের নেতারা বিএনপি নেতাদের দেখে বিভিন্ন উস্কানিমূলক মন্তব্য করতে থাকেন।বিএনপি নেতারা ইউএনও অফিস থেকে বের হয়ে চলে যাওয়ার সময় স্থানীয় ছাত্রজনতা তাদের এত তাড়াতাড়িই চলে যাওয়ার কারন জিজ্ঞেস করলে তিনি জানিয়েছেন জামায়াত নেতাদের অসৌজন্যমূলক আচরণের কথা।পরবর্তীতে ছাত্রজনতা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের উপর আতর্কিত হামলা চালিয়েছে।এরপরই মজিবুর রহমান, বাবু,মানিকসহ সহ বিএনপির কিছু নেতাকর্মী ইউএনও অফিস ঢুকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন।ছাত্র জনতার আতর্কিত হামলায় জামায়াত নেতারা গুরুতর আহত হন।পরে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।এদিকে এই ঘটনায় উপজেলা জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ঘটনার পর জামায়াতের উপজেলা আমির কে এম হেসাব উদ্দিনসহ কয়েকশ নেতাকর্মী নিয়ে ইউএনও অফিসে ছুটে আসেন ছাত্র জনতার উপর পাল্টা হামলা চালানোর জন্য।এ সময় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।খবর পেয়ে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।এরপরই উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম বিশ্বাস,সদস্য সচিব শেখ আব্দুর রউফ,যুবদলের আহ্বায়ক সিদ্দিকুর রহমান পিন্টুসহ শীর্ষ নেতারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান ছাত্রজনতার পাশে দাঁড়ানোর জন্য।বিষয়টি নিয়ে ইউএনও সঙ্গে বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের রাত দশটা পর্যন্ত দফায় দফায় বৈঠক চলে।পরে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ইউএনও মীর রাশেদুজ্জামান বলেন বিষয়টি দুঃখজনক।যেহেতু তার ওইখানেই ঘটনা ঘটেছে,কাজেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম বিশ্বাস, সদস্য সচিব শেখ আব্দুর রউফ ও যুবদলের আহবায়ক সিদ্দিকুর রহমান বলেন,কোনো সন্ত্রাসী আমাদের দলের হতে পারে না।আমরা বলেছি-যারা অপরাধী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।এদিকে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল গাফ্ফার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আমরা সাংগঠনিকভাবে কর্মসূচি দেব।সুজানগর থানার ওসি মজিবুর রহমান জানান, আহতরা এখনো মামলা করেত আসেননি। তারা এলেই মামলা নেওয়া হবে।