মোঃ সৈকত হোসেন(নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
সোয়াই নদীর অসমাপ্ত কাজ দ্রুত সমাপ্ত করতে ও নদী রক্ষায় সচেতন শ্যামগঞ্জ বাসীর ব্যানারে ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ সকাল এগারো ঘটিকায় শ্যামগঞ্জ বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্হান কর্মসূচি পালিত হয়।
ফলে শ্যামগঞ্জ বাজারের নেত্রকোনা ময়মনসিংহ হাইওয়ে রোড অংশ দুই ঘণ্টা অবরোধ থাকে।
অবশেষে সোয়াই নদী রক্ষায় অবস্থান কর্মসূচি-তে সচেতন শ্যামগঞ্জবাসীর দুর্বার আন্দোলনের চাপে প্রশাসন প্রতিশ্রুতি দিতে বাধ্য হয়েছে। পূর্বধলা উপজেলার ইউএনও রেজওয়ানা কবির আশ্বাস দিয়েছেন, আগামী ৭ দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয় কর্তৃক তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একইসঙ্গে গৌরীপুর উপজেলার ইউএনও এম. সাজ্জাদুল হাসান নিশ্চিত করেছেন যে, উনার পক্ষ থেকে কোনো জটিলতা নেই। আলোচনায় গৌরীপুর উপজেলার এসিল্যান্ড সুনন্দা সরকার প্রমা-সহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রশাসনের প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে সচেতন শ্যামগঞ্জবাসী আন্দোলন ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করেছে। তবে, ২৭ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে যদি কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয়, তবে আগের চেয়ে আরও বৃহৎ এবং কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে!
এই আন্দোলনে সরাসরি অংশ নিয়েছেন—শিক্ষার্থী, শ্রমজীবী, মেহনতি মানুষ সহ শ্যামগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষ।
সেই সাথে আন্দোলনকে সফল করার জন্য সর্বত্র সহযোগিতা করে শ্যামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্যরা।
সোয়াই নদী রক্ষা কারী আন্দোলনের নেতারা বলেন,এই নদী কারও বাপ-দাদার সম্পত্তি নয়,ভূমি দস্যুদের সাবধান করে দিতে চাই দ্রুত জায়গা ছাড়েন,না হলে আর ছাড় দিব না দস্যুদের।
আমাদের লড়াই কেবল শুরু হয়েছে। এ লড়াই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অধিকার ও প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার জন্য।
যে পর্যন্ত সোয়াই নদীর অসমাপ্ত কাজ শেষ হবে না সে পর্যন্ত আমাদের আন্দোল চলবে,আমরা আর প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাসী না সোয়াই নদীর শ্যামগঞ্জ বাজারের পূর্বধলার অংশ ও গৌরীপুরের অংশ অসমাপ্ত নদীর কাজ
দ্রুত শেষ করতে হবে। যেদিন কাজ শেষ হবে সেদিন আমাদের আন্দোলনও শেষ হবে।
প্রোগ্রামকে সুন্দরভাবে সফল করার জন্য,ময়মনসিংহ উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহসভাপতি মোঃ সুপ্লব খান, আন্দোলন কারী নেতা,সৈয়দ
এস এম ঋজু,পারভেস
,নোহাস,ইয়াছিন,হান্নান,আসাদ,তামিম,আরিফ,অর্ক দত্ত শ্যামগঞ্জ বাসীকে ধন্যবাদ জানান।