মোঃ খসরুজ্জামান কবীর
মধ্যনগর উপজেলা প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর উপজেলার চামরদানী ইউনিয়নের অন্তর্গত ৫ নং ওয়ার্ডের জলুষা গ্রামের ৬৫ বছরের বৃদ্ধা মোঃ তৈয়ব আলী সে একজন গরীব অসহায় মানুষ তার ছেলে মোঃ হোসেন মিয়া অটোরিকশা চালিয়ে কোনো রকম সংসার চালিয়ে আসছে।
অটোরিকশা চালানোর সময় দক্ষিণ আমজুড়া গ্রামের ছমেদ মিয়ার সাথে কথার কাটাকাটি করে এর জেদ ধরে মোঃ তৈয়ব আলীর বাড়িতে ঢুকে ছমেদ মিয়া ও তার লোকজন এলুপাতারি কিল ঘুষি মারে পরের দিন জলুষা এবং আমজুড়ার গ্রামের মুরুব্বিদের নিয়ে সালিশ বসে জনতা বাজারে উক্ত সালিশ অমান্য করে অত্র এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী চোর ডাকাত মাদক ও জোয়ার সাথে জড়িত ছমেদ মিয়া উজ্জ্বল মিয়া জজ মিয়া একলাছ উদ্দিন রিপাল মিয়া ইয়াসিন মিয়া গোলাম মোস্তফা গুলু ও লাট্টন মিয়া সালিশের মধ্যে থেকে তুলে নিয়ে মোঃ তৈয়ব আলীর ছেলে মোঃ হোসেন মিয়াকে এলুপাতারি কিল ঘুষি মারতে শুরু করে পরে ঘটনা স্থলে তার বাবা মোঃ তৈয়ব আলী তার ছেলেকে উদ্ধার করতে গিয়ে মোঃ তৈয়ব আলী কেউ এলুপাতারি কিল ঘুষি মেরে এবং দাঁড়ি দরিয়া টান মেরে নবীর সুন্নত দাঁড়ি উপরে ফেলে। ঘটনা স্থলে এলাকার লোকজন এসে তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ধর্মপাশা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঐ দিনেই সন্ধ্যার পরে মধ্যনগর থানায় এসে মোঃ তৈয়ব আলীর স্ত্রী মোছাঃ ফাতেমা আক্তার বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।

মধ্যনগর থানার ওসি মোঃ সজিব রহমান বলেন উক্ত বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
উক্ত বিষয়টি নিয়ে এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বিচার চাই বলিয়া মানববন্ধন কর্মসূচি ও প্রতিবাদ মিছিল করে। উক্ত কর্মসূচি ও
মানববন্ধনের সভাপতি হিসেবে ছিলেন ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে নিহত শহীদ আয়াতুল্লার বাবা হাজী মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম এ ছাড়াও মানববন্ধন ও কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ ও মধ্যনগর উপজেলার হেফাজত ইসলাম এবং জামায়াত ইসলামের নেতৃবৃন্দ।