মোহাম্মদ আলমগীর উপজেলা প্রতিনিধি টেকনাফ
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের কক্সবাজার রিজিয়নের, রামু সেক্টরের অধীনস্থ, টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) সদা জাগ্রত অতন্দ্র প্রহরী থেকে সীমান্ত নিরাপত্তায় বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে দায়িত্ব পালন করছে। টেকনাফ ব্যাটালিয়ন সীমান্ত সুরক্ষা ছাড়াও চোরাচালান, মাদকদ্রব্য, অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং আন্তঃ রাষ্ট্রীয় সীমান্ত অপরাধ দমনে যথাযথ ও কার্যকরীভাবে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে বেসামরিক পরিমন্ডলে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) কর্তৃক *পরিচালিত অভিযানে ১,২০,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার* করা হয়।
ক। টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্তবর্তী নাফ নদীতে ইদানিং মাদক কারবারীদের দৌরাত্ব পরিলক্ষিত হচ্ছে। সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ২ বিজিবি’র সদস্যরা দিবা-রাত্রি টহল কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি নিরবিছ্চিন্ন কার্যকরী গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে বিশেষ অভিযান পরিচালনার ফলে বিগত কয়েক সপ্তাহে মাদক এবং অন্যান্য চোরাচালান প্রতিরোধে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে। নিজস্ব গোয়েন্দা মারফত জানা যায় যে, নাফ নদীর তীরবর্তী চৌধুরীপাড়া এলাকায় মায়ানমার হতে মাদকের একটি বড় চালান বাংলাদেশে আসতে পারে। উক্ত তথ্য পর্যালোচনা করে অদ্য ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ হ্নীলা বিওপি’র একটি বিশেষ অভিযানদল চৌধুরীপাড়া এলাকায় কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। আনুমানিক ০৩৩০ ঘটিকায় ০২ জন ব্যক্তি নাফ নদীর অপর পার্শ্ব হতে সীমান্তের শূন্য লাইন অতিক্রম করে বাংলাদেশের দিকে সাঁতরে পার হয়ে নদীর তীর দিয়ে দুইটি ব্যাগ কাঁধে বেড়ীবাঁধ হয়ে চৌধুরীপাড়া গ্রামের দিকে অগ্রসর হলে ওঁত পেতে থাকা বিজিবি সদস্যরা তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে। অভিযান দলের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক কারবারীরা তাদের বহনকৃত ব্যাগগুলো ফেলে দিয়ে ঘন কুয়াশা এবং রাতের অন্ধকারের সুযোগে দ্রুত বসতি এলাকার ভিতরে গা ঢাকা দেয়। অভিযান দল স্থানীয়দের সহায়তায় বর্ণিত এলাকায় অনুসন্ধান চালিয়ে মাদক কারবারীদের ফেলে যাওয়া দুইটি প্লাস্টিকের ব্যাগের ভিতরে ১,২০,০০০ (এক লক্ষ বিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে সমর্থ হলেও মাদক বহনকারী ব্যক্তিদের আটক করা সম্ভব হয়নি। অপরাধীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে এবং প্রচলিত আইন অনুযায়ী উদ্ধারকৃত মাদক হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন।
২। টেকনাফের জনমনে স্বস্তি ও শান্তি বজায় রাখতে সীমান্তবর্তী এলাকায় অপরাধ দমনসহ মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।
*লেঃ কর্নেল আশিকুর রহমান, পিএসসি*
অধিনায়ক
টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি)