মো আতিকুল ইসলাম,গাজীপুর সদর উপজেলা প্রতিনিধি
শেরপুরের তারাকান্দী বাজারের হারেজ আলীর মেয়ে জন্নাতুল ইসলাম জহুরা (খুশি)। বর্তমানে থাকেন গাজীপুরের ভবানীপুর এলাকায়। তিনি পেশায় একজন গার্মেন্টস কর্মী। এক বুক আশা নিয়ে ২০২৩ সালের মার্চের ৩ তারিখে বিয়ে করেন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের দুরাইল গ্রামের শুরুজ্জামানের ছেলে মেহেদী হাসানকে। তাদের ঘর আলো করে আসে এক পূত্র সন্তানও। কিন্তু তাদের সুখের সংসারে অন্ধকার নেমে আসে যৌতুক নামে কালো থাবা। অর্থলোভী স্বামী মেহেদী হাসান দাবি করেন ৪ লক্ষ টাকা। গার্মেন্টস কর্মী স্ত্রী জান্নাতুল ইসলাম খুশি বহু কষ্টে ২ লক্ষ টাকা দিতে পারলেও পুরো ৪ লক্ষ টাকা দিতে না পারায় মন পাননি পাষন্ড স্বামী মেহেদীর। এই কারণে ১৪ মাসের ছেলে মাহির ও স্ত্রী জান্নাতুল কে রেখে পালিয়ে যান স্বামী মেহেদী।
পালিয়ে যাওয়ার দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও যোগাযোগ করেননি স্ত্রী কিংবা সন্তানের সাথে। মাঝে একবার ফোন করে মেহেদী জানান যৌতুকের পুরো টাকা না দিতে পারলে আবারও বিয়ে করবেন। এদিকে সন্তান নিয়ে বিপাকে পড়ে অসহায় দিন পার করছেন গার্মেন্টস কর্মী জান্নাতুন। সঠিক বিচার না পেয়ে ঘুরছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে। তাদের ভরণপোষণ না পেয়ে তাদের দিন কাটছে অসহায়ত্বের মধ্যেই।
১৪ মাসের পূত্র সন্তানসহ অসহায় জান্নাতুল ইসলাম জহুরা খুশি বলেন,বাবা- মার সম্মান রাখতে বিয়েতে রাজি হয়েছি। এই কারণে অনার্স কমপ্লিট করতে পারিনি। আমার স্বামী আমাকে নিয়মিত শারীরিক নির্যাতন করতো। সে পেশায় একজন টেইলর। এখন আমি ন্যায্য বিচার চাই।
পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করেন অসহায় জান্নাতুন।