1. dailyjagratasangbad@gmail.com : দৈনিক জাগ্রত সংবাদ : দৈনিক জাগ্রত সংবাদ
  2. info@www.dailyjagratasangbad.com : দৈনিক জাগ্রত সংবাদ :
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
গাজীপুরের শ্রীপুরে অগ্নিকাণ্ড পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবে মিথ্যা হয়রানি মামলার প্রতিবাদ। হাতিয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতা বেলাল মেম্বার বিএনপিতে যোগ দান। তারাগঞ্জে বালুবাহী ড্রাম ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত বদরগঞ্জে বিএনপির কর্মী লাভলু মিয়া হত্যা মামলার আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় হতাশ তাঁর পরিবার সখিপুরে ১০ হাজার পিস ই*য়া*বা*স*হ হারুন নামের এক মাদক ব্যবসায়ী ডিবির হাতে গ্রে*ফ*তা*র ৫৪ বছরের সরকারগুলো নারীদের নিরাপত্তা ও সম্মান মর্যাদা দিতে পারেনি ডা. শফিকুর রহমান রংপুর জেলা তাঁতীদলের সুপার-৫ ইউনিট নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মতলবে মেঘনার তীর সংরক্ষণের ব্লক ধ্বসে পড়ায় এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক ময়মনসিংহে চাকরির নামে প্রতারণা আনসার সদস্যসহ চক্রের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ- ভুক্তভোগীরা সর্বস্বান্ত। সরিষাবাড়ী’র ভাটারা ইউনিয়নে বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত

জিয়া পরিবার এবং শিমুল বিশ্বাস।

  • প্রকাশিত: সোমবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৭১ বার পড়া হয়েছে

 

মোঃ আবিদ হাসান-পাবনা জেলা প্রতিনিধি।

অ্যাডঃ শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস ১৯৫৮ সালে পাবনার পুরাতন কুঠিপাড়া মহল্লার ঐতিহ্যবাহী “বিশ্বাস পরিবারে” জন্মগ্রহন করেন। তার পুরোনাম শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।পিতা মরহুম আজিজুল ইসলাম বিশ্বাস এবং মাতার নাম মরহুম শেফালী বিশ্বাস।০৬ ভাই ও ০৪ বোনের মধ্যে তিনি ৩য়।তার পিতা ছিলেন পাবনার ঐতিহ্যবাহী বিশ্বাস পরিবারের জৈষ্ঠ্য সন্তান। পাবনা শহরে পড়াশোনা শেষে ১৯৪২ সনে তিনি উচ্চ শিক্ষার জন্য কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি হন।সে সময়ে তিনি বৃটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দেন। তৎপরবর্তীতে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন সাম্প্রদায়িক বিভেদে রুপ নিলে তিনি পড়াশোনা অসম্পূর্ন রেখে পাবনায় ফিরে আসেন এবং চাকুরি ও সমাজসেবা মুলক কর্মকান্ডে আত্মনিয়োগ করেন।
পাবনা জেলার বিশ্বাস পরিবার ইংরেজ আমল থেকেই ঐতিহ্যগত ভাবে অন্যতম প্রভাবশালী পরিবার।তার দাদা মরহুম আলহাজ্ব আহেদ আলী বিশ্বাস বৃটিশ শাসনামলে সারা বাংলার বিখ্যাত ঠিকাদার ছিলেন।তার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সেই সময় ভারত বর্ষের বিভিন্ন স্থানে সুবৃহৎ স্থাপনা তৈরি করে সুখ্যাতি অর্জন করে। সে আমলে পূর্ব বাংলার পশ্চাৎপদ মুসলিম সমাজে অর্থ-বিত্ত ও ঐতিহ্যে অল্প কয়েকটি মুসলিম পরিবারের মধ্যে বিশ্বাস পরিবার ছিল একটি।আলহাজ্ব আহেদ আলী বিশ্বাস কর্তৃক পাবনা জেলার কুঠিপাড়ায় কয়েক একর জমির উপর ইংরেজ আমলে নির্মিত বৃহৎ প্রাসাদসম ভবন “বিশ্বাস বাড়ী” আজও নির্মাণ শৈলী এবং কারুকাজের দিক থেকে সেসময়ের মুসলিম ঐতিহ্যের স্মৃতিচিহ্ন হিসাবে দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করে। বংশানুক্রমে বিশ্বাস পরিবার বিশাল অর্থ ও ভূসম্পত্তির মালিক হলেও তারা সমাজের দরিদ্র ও শোষিতের অভাব অনটনে একাত্ম হয়ে বিভিন্ন প্রকার সমাজ সেবামূলক কর্মকান্ডে বিশেষ ভুমিকা রাখতেন।জনকল্যাণ ও ন্যায় বিচারক হিসেবে আলহাজ্ব আহেদ আলী বিশ্বাস এ অঞ্চলে মুসলিম জনগেষ্ঠির মধ্যে সুপরিচিত ছিলেন। একদিকে তিনি যেমন ছিলেন গবীর-দুঃখী বঞ্চিত মানুষের প্রতি দরদী তেমনই ছিলেন একজন সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগী।সে আমলে প্রতিবছর বন্যায় ও পদ্মার ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যেত চর অঞ্চলের শতশত বাড়িঘর-গ্রাম।এই সকল বানভাসী সর্বশান্ত মানুষদের মরহুম আলহাজ্ব আহেদ আলী বিশ্বাস নিজ জমিতে বাড়ি-ঘর তৈরি করে দিয়েছেন এবং কুঠিপাড়ায় নিজ জায়গায় উপর মসজিদ, মাদ্রাসা, মক্তব, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ঈদগাহ মাঠ স্থাপন করেছেন। সে আমলে পশ্চাৎপদ মুসলমান ছাত্রদের পড়াশোনা করার জন্য তিনি নিয়মিত বৃত্তি দান করতেন।তিনি ছিলেন একজন অত্যন্ত ধার্মিক মুসলমান।বৃটিশ আমলে এ অঞ্চল থেকে যে অল্প কিছু মানুষ পবিত্র হজ পালন করেছিলেন তিনি তাদের মধ্যে অন্যতম।অ্যাডঃ শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের শিক্ষা জীবন:
তার লেখাপড়ার হাতেখড়ি শুরু হয় পুরান কুঠিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পরবর্তিতে অধ্যয়ন করেন, গোপাল চন্দ্র ইন্সিটিউট, এডওয়ার্ড কলেজ,শহীদ বুলবুল কলেজ ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে।তৎপরবর্তীতে এল এল বি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পাবনা বারে আইনজীবি হিসেবে যোগদান করেন।অ্যাডঃ শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের রাজনৈতিক জীবন:
প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশুনার প্রতি শিমুল বিশ্বাস কখনই বিশেষভাবে আকর্ষিত ছিলেন না।তার আকর্ষণ ছিল সাধারন মানুষের রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তিতে।তবে তাকে পরিবারের আস্থা ও সহযোগিতা ধরে রাখার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশুনাও করতে হয়েছে।সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের দারিদ্রতা ও পশ্চাদপদতা তাকে প্রবলভাবে রাজনীতিতে আকৃষ্ট করে তোলে।মানুষের সাথে মিশে যাওয়ার তার স্বভাবজাত প্রবনতা তাকে দরিদ্র, ভূমিহীন, কৃষক, শ্রমিক, মেহনতী মানুষের সাথে আপন জনের মত মেলা মেশা করতে সাহায্য করে। ফলশ্রুতিতে যৌবনের প্রারম্ভেই তিনি সমাজে বৈষম্য ও অসামঞ্জস্যতার বাস্তব চিত্র উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন।স্কুল জীবনেই প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় ভাবে জড়িয়ে পড়েন।ছাত্র -ছাত্রীদের সাথে অনায়াসেই আপনজনের মত মিশে থাকতেন বিধায় অল্পদিনের মধ্যে তাদের মাঝে তিনি জনপ্রিয়তায় অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেন।তিনি শহীদ বুলবুল কলেজকে সরকারীকরনের জন্য বিশেষ ভুমিকা রাখেন। ১৯৭৭ সালে তিনি জাতীয় ছাত্র আন্দোলনের পাবনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন সাথে সাথে কেন্দ্রীয় ভাবে বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৭ হতে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত সরকারী শহীদ বুলবুল কলেজের ছাত্র সংসদে পর পর ৩ বার ভিপি নির্বাচিত হন এবং ছাত্র আন্দোলনে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দেন।এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে তার সাংগঠনিক দক্ষতা,সাহসিকতা,বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং অক্লান্ত পরিশ্রম পাবনাবাসীর নিকট আজও উদাহরণ হয়ে আছে।পাশাপাশি ৮০’র দশকে বিভক্ত প্রগতিশীল বিপ্লবী ছাত্র সংগঠন (জাতীয় ছাত্র আন্দোলন,বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন,জাতীয় ছাত্র ইউনিয়ন,জাতীয় ছাত্রদল (রিজভী ও ঢালী ),জাতীয় ছাত্রদল (সাঈদ ও সালাউদ্দিন)) গুলোকে ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষেত্রে উদ্যোগী ভুমিকা পালন করায় জাতীয় ভাবে একজন প্রতিশ্রুতিশীল তরুন নেতা হিসেবে পরিচিত হন।ছাত্রাবস্থায় তিনি উপলব্ধি করেন যে,এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ সাধারন মানুষের দারিদ্রতা ও পশ্চাদপদতা থেকে মুক্তির উপায় রাষ্ট্রীয় সুশাসন ও সম্পদের সুষমবন্টন।শোষক শ্রেণীর মুষ্টিমেয় কিছু সুবিধাবাদী মানুষ এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সামাজিক বিভাজনকে জিইয়ে রেখে এবং উস্কে দিয়ে মানুষকে শোষণ করছে।শোষণ ও বৈষম্যমূলক এই সমাজ ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন প্রয়োজন।এই উপলব্ধি থেকে সমাজ পরিবর্তনের বলিষ্ঠ প্রত্যয় নিয়ে দিনের পর দিন গ্রাম থেকে গ্রামে,শ্রমিকের বাড়িতে, কৃষকের বাড়িতে, দরিদ্র -ভুমিহীনদের বাড়িতে অবস্থান করে সংগঠিত করেন চাষী সমিতি এবং কৃষক সমিতি।একই সাথে তিনি সাধারন শ্রমিকদেরঐক্যবদ্ধ করে পাবনাতে শ্রমিক ফেডারেশন গড়ে তোলেন।এরই ধারাবাহিকতায় পাবনায় পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন এবং জাতীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশনের সাথে যুক্ত হন।তিনি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশন উত্তর বঙ্গ আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন এবং বর্তমানে কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক পদে বহাল আছেন।তার অকপট আত্মত্যাগী অবদানের জন্য পরিবহণ শ্রমিকদের মাঝে এখনো তিনি জনপ্রিয়তায় অপ্রতিদ্বন্দ্বী। ৮০’র দশকে বামপন্থী সংগঠন থেকে অনেকটা দূরে সরে আসেন এবং স্থানীয় এবং জাতীয় ভিত্তিতে শ্রমিকদের অর্থনৈতিক মুক্তি ও অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করেন। এছাড়াও তিনি স্থানীয় ও জাতীয় ভিত্তিতে পরিবহন শ্রমিক আন্দোলন গড়ে তোলার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।১৯৯৮-৯৯ সালের দিকে তার চিন্তাধারাতে বিশেষ পরিবর্তন দৃশ্যমান হতে থাকে।এ সময় একদিকে মানুষের মুক্তির সংগ্রামে সমাজতন্ত্রের নানা অনিশ্চয়তা এবং ধর্মের বিরুদ্ধে সমাজতন্ত্রের অযৌক্তিক বিরোধিতা এবং পারস্পরিক দ্বন্দ্ব তাকে বিচলিত করে।তার সাথে কথা বলে জানা যায়, বুদ্ধিজীবি বারট্রানড রাসেলের জীবনী,বাংলাদেশের বিখ্যাত কবি আল মাহমুদ ও বিশিষ্ট চিন্তাবিদ ফরহাদ মজহার বিভিন্ন লিখনি এবং সাক্ষাৎকার তাকে এ বিষয়ে নতুনভাবে চিন্তা করতে অনপ্রেরনা যোগায়।জাতীয় রাজনীতিতে আদর্শ হিসেবে তিনি মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াকে অনুসরন করতে শুরু করেন।শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার ব্যক্তিগত সততা,বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী রাজনীতি, আত্মত্যাগী ব্যক্তিজীবন, বীরত্বপুর্ন সাহসিকতা এবং জিয়ার অকুণ্ঠ দেশপ্রেমে তিনি প্রভাবিত হন। ১৯৯৯ সালে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের আহবানে শিমুল বিশ্বাস বিএনপি তে যোগদান করেন।তার এই রাজনৈতিক দর্শন পরিবর্তনের দিকটি মোটেও অস্বাভাবিক কোন ঘটনা নয়।কারন আমরা দেখি বহু রাজনীতিবিদ এবং মনীষী জীবনে বার বার মতবাদ পরিবর্তন করেছেন। এক সময়ে মার্ক্সবাদে বিশ্বাসী ছিলেন শতাব্দীর সম্ভবত সর্বশ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবি বারট্রানড রাসেল।আর সেজন্যই তিনি বিনাশ্রমে শুধুমাত্র জন্মসূত্রে অর্জিত অঢেল পৈত্রিক সম্পত্তি ভোগ করবেন এটা বিবেক বিরোধী মনে করেছিলেন।তাই উত্তরাধিকার সুত্রে পাওয়া সম্পত্তি দান করে দিয়েছিলেন কয়েকটি জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানে। চীন,রাশিয়া ঘুরে এসে মার্ক্সবাদ সম্পর্কে বারট্রানড রাসেলের চিন্তার পরিবর্তন ঘটে।অনিবার্যভাবে অনেকের সাথে তার বন্ধু বিচ্ছেদ ঘটেছে,এমনকি শেষ জীবনে তিনি দারিদ্রতাকে বরন করে নিতেও কুণ্ঠাবোধ করেননি।ছিলেন কিন্থু জীবন সায়াহ্নে এসে হঠাৎ তিনি ধার্মিক হয়ে উঠেছিলেন।২০০২ সালে শিমুল বিশ্বাস বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশনের(বিআইডব্লিওটিসি)চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। বিআইডব্লিউটিসি বরাবরই একটি লোকসানী প্রতিষ্ঠান ছিল শিমুল বিশ্বাস দায়িত্ব নেয়ার পর এই প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিনত করেছিলেন।এটি ছিল একটি যুগান্তকারী ঘটনা।তার সততা,একাগ্রতা ও নিষ্ঠার ঘটনাগুলো এখনো এ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মুখে মুখে ফেরে।
১/১১ এর অবৈধ সরকার যখন স্বাধীনতার ঘোষক বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের জনক ও রাষ্ট্রনায়ক জিয়ার পরিবারকে নিমূর্ল করার ষড়যন্ত্র করেন,তখনকার বিরাজমান ভীতিকর অবস্থায় শিমুল বিশ্বাস সরকারী চাকুরী ছেড়ে জিয়া পরিবারের পক্ষে দাঁড়ান একজন প্রকৃত বন্ধুরূপে।সকল ভয়-ভীতি, প্রাণ নাশের হুমকি, মামলা-জেলের ভয়কে উপেক্ষা করে তিনি জিয়া পরিবারের পক্ষে অবস্থান নেন।ফাইল হাতে আদালতের প্রাঙ্গণে,জেলখানা সহ সকল স্থানেই দেখা গিয়াছে অ্যাডঃ শিমুল বিশ্বাসকে।এ সময় তিনি জিয়া পরিবারের দৈনন্দিন খোজ নিতেন এবং মামলা পরিচালনা করেছেন। ২০০৭ সালে তিনি দৈনিক দিনকালের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০০৮ সালে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী হিসাবে নিযুক্ত হন এবং অদ্যবধি কাজ করে যাচ্ছেন।তার সততা,নিষ্ঠা ও বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি আনুগত্যতা তাকে বর্তমান সরকারের বিশেষ বিরাগভাজন করেছে। তৎকালীন স্বৈরাচারী সরকার হয়রানির উদ্দেশে তার বিরুদ্ধে শতাধিক মিথ্যা ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছে।সমাজ ও আর্তমানবতার সেবায় অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস:
সমাজ সেবা ও আর্ত মানবতার সেবায় সর্বদাই সচেষ্ট থেকেছেন তিনি।তার পিতামহ মরহুম আলহাজ্ব আহেদ আলী বিশ্বাসের রেখে যাওয়া সম্পত্তির সর্বাত্মক সদ্ব্যবহারের জন্য শিমুল বিশ্বাস পরিবারের সকল ওয়ারিশদের অনুপ্রানিত করে প্রায় ৩০/৩৫ কোটি টাকার সমমূল্যের ১৫০ বিঘা জমি দান করে “আলহাজ্ব আহেদ আলী বিশ্বাস মানব কল্যাণ ট্রাষ্ট” গঠন করেন।সেই জায়গায় প্রতিষ্ঠা করেছেন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ,কারিগরী কলেজ, ঈদগাহ,খেলার মাঠ ও পাঠাগার এবং প্রক্রীয়াধীন আছে এতিমখানা,বয়স্ক আশ্রয় কেন্দ্র,দরিদ্রদের কর্মসংস্থানমুলক প্রকল্প। এছাড়াও এ ট্রাষ্টের আওতায় আরো ১০টি স্কুলে শিক্ষাবৃত্তি প্রকল্প চালু আছে।পাবনা অঞ্চলের দরিদ্র মানুষের সহযোগিতার জন্য তিনি স্বেচ্ছাশ্রমের মূলমন্ত্রে একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলেছেন।১৯৭৯ সাল থেকে গনস্বাস্থ্য এবং অন্যান্য সাহায্য সংস্থার সহায়তায় ও তার প্রত্যক্ষ উদ্যোগে পাবনার গৃহহীন মানুষের জন্য প্রায় ৩,৬০০ টি ঘর নির্মাণ করেন এবং দরিদ্রদের মাঝে বিনামুল্যে ৩,০০০ টি রিকশা বিতরন সহ নদীখনন, দরিদ্র এলাকায় কাঁচা রাস্তা নির্মাণ,বন্যা কবলিত এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ ও বৃক্ষরোপণের মত অনেক কাজ করেছেন।প্রতিটি বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে তরুণদের স্বেচ্ছাশ্রম ও সামর্থবানদের সহায়তাকে সংগঠিত করে দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।তিনি ধর্ম, বর্ন,গোত্র নির্বিশেষে শত শত বেকারের চাকুরীর ব্যবস্থা করেছেন।পাবনার নিভৃত গ্রামে,দুর্গম চরঅঞ্চলে এবং বিভিন্ন পাড়া মহল্লাসহ প্রতিটি অঞ্চলে আছে তার মানব কল্যানমুখী বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রমান।
ব্যক্তি শিমুল বিশ্বাস:
ব্যক্তি শিমুল বিশ্বাস একজন সদালাপী এবং অমায়িক মানুষ।ছাত্র জীবন থেকেই তিনি মানুষের সাথে মিশেছেন আন্তরিক ভাবে।ধনী পরিবারের সন্তান হওয়া সত্ত্বেও তিনি বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কল্যানে আত্মত্যাগের পথকেই জীবনের অভীষ্ট লক্ষ্য বলে বিশ্বাস করেন।পোষাক ও চলাফেরায় তিনি অতি সাধারণ।কৃষক, শ্রমিক কিংবা দরিদ্র জনগণ সবার সাথে তার মেলামেশা অনেকটা বন্ধুর মত। শাক-সবজী, রুটি এবং সাধারন আহার তার পছন্দের খাবার।ব্যক্তি জীবনে তার কোন কৃত্রিমতা নেই।তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও নির্ভরযোগ্যতা প্রশ্নাতীত।কোন লোভ-লালসা,ভয়-ভীতি বা মৃত্যু ভয় তাকে সত্য উপলব্ধি ও তার সংকল্প থেকে কখনো বিচ্যুতি ঘটাতে পারেনি।
পারিবারিক জীবনে তিনি দুই সন্তানের জনক।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট