মো: ফজলুল হক মানিক
লালমনিরহাট উপজেলা সদর প্রতিনিধি।
ব্রিটিশ আমলের এই রেলওয়ে হাসপাতালটি জনবল সংকট ছাড়াও হাসপাতালটিতে নেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম সংকট দূর করে দ্রুত সচল করার রেলওয়ে কর্মচারী ও স্হানীয়দের দাবি করেছে।
একজন চিকিৎসক একজন সিনিয়র নার্স এবং একজন ওয়াড বয় নিয়ে চলছে লালমনিরহাট রেলওয়ে হাসপাতাল আউটডোর ও জরুরি চিকিৎসা সেবা চালু থাকলেও ঠিক মতো চিকিৎসা সেবা নিতে পারছেন না রোগীরা।সরজমিনে হাসপাতালটিতে গেলে দেখা নাই কোন রোগীর।
তিন জন কর্মচারী বসে বসে মোবাইল টিপে প্রতি মাসে মোটা অংকের বেতন নেয়। রোগী নেই বলে তাদের কোন কাজ নেই। এখন লালমনিরহাট রেলওয়ে হাসপাতালটি প্রায় বন্ধের পথে।এক সময় হাসপাতালটিতে রোগীর ভীরে মুখোরিত ছিল সব সময়।
এই ৩২ শষ্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল নেই কোন রোগী মাঝে মধ্যেই দুই এক জন রোগী ভর্তি হলেও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ঔষধ থাকলেও তেমন কোন চিকিৎসা সেবা রোগীরা পাচ্ছে না।এই সব কারনে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রেল কর্মচারী, স্হানীয় বাসিন্দারা ও হাজারো মানুষ।
একজন সিনিয়র নার্স ও অন্যান কর্মচারীদের সাথে কথা বলে জানা যায় বর্তমানে একজন রোগী আছে তাও বাসা থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে হয়। কারন জানতে চাইলে তারা বিভিন্ন প্রকার সমস্যা বিষয় কথা বলেন।
ব্রিটিশ আমলে এই হাসপাতালেটি ছাদে ফাটল ধরেছে। সিনিয়র নার্স জনাবা,রোসান বেগম( ৪৫) বলেন এক সময় রোগী ভীরের কারনে চিকিৎসা সেবা দিতে আমরা ভীমশিম খেতাম, আর এখন বসে বসে দিন কাটাতে হয়।চিকিৎসক সাথে কথা বলে জনাব,মাহাফুজার ইফতেখার ভূঁঞা আরো জানা যায় যে ৩২ শষ্যা হাসপাতালে ২০ টি হলো নারীদের জন্য ১০ টি পুরুষদের জন্য বর্তমানে কোন রোগী আসেনা।এই হাসপাতালে মোট পদে জনবল ২৩৪ টি পদের মধ্যেই ৮১ টি পদে লোকবল কর্মরত রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ১৫৩টি পদই শূন্য রয়েছে। হাসপাতালটি সচল করা গেলে ৫০০ শষ্য বিশিষ্ট ডিজিটাল রেলওয়ে হাসপাতাল করা সম্ভব কারন প্রচুর জায়গা রয়েছে এই হাসপাতালে ওই জায়গায় গুলো এখন হয়েছে ছেলে/ মেয়ে ও টিকটক করার স্হানে পরিনতি হয়েছে।তাই রেলকর্মচারী স্হানীয় বাসিন্দারা দাবী হাসপাতালটি সচল হলে রেলকর্মকর্তা,রেল কর্মচারীদের পাশাপাশি হাজারো মানুষের সাস্হ্য সেবা দেয়া সম্ভব হতো।এ ব্যাপারে রেলওয়ে বিভাগীয় ম্যানেজার জনাব,আব্দুস সালাম বলেন জনবহুল বাড়ানোর জন্য উর্ধাতন কতৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে বলে জানান।