যশোর জেলা প্রতিনিধি
যশোরের শার্শা উপজেলার পাঁচভুলোট সীমান্ত থেকে দুই বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধার করে হয়েছে। দু'জনের শরীরেই গুরুতর জখম ছিল। তবে কিভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে,তা নিশ্চিত পারেনি বিজিবি।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে একজনের মরদেহ সীমান্তের ইছামতী নদী থেকে উদ্ধার করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। আর মুমুর্ষ অবস্থায় অপরজনকে রাতে উদ্ধার করে স্বজনেরা বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়
দু'জনের মধ্যে একজনের নাম পরিচয় জানা গেছে। তিনি হলেন শার্শা উপজেলার কাগজপুকুর গ্রামের ইউনুস মোড়লের ছেলে জাহাঙ্গীর (৩৩)। অপরজনের পরিচয় জানা যায়নি।
বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে সকালে সীমান্তের ইছামতী নদীতে একজনের লাশ বাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন খুলনা ব্যাটালিয়নের (২১ বিজিবি) সদস্যদের খবর দেন। বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে বেওয়ারিশ অবস্থায় শার্শা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। নিহতের মাথায় পেছনের অংশে গুরুতর জখমের চিহ্ন ছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খুলনা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো খুরশিদ আনোয়ার বলেন অজ্ঞাত পরিচয়ের মরদেহটি উদ্ধার করে বেওয়ারিশ হিসেবে বেনাপোল বন্দর থানা/ শার্শা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মরদেহের মাথার পেছনের অংশে ধারালো অস্ত্রের জখম রয়েছে। পরনে কোন পোষাক ও ছিল না। স্থানীয় বাসিন্দাদের মরদেহ সনাক্তকরণের জন্য দেখানো হয়েছে, কিন্তু কেউ চিনতে পারে না।
এদিকে, সকালে খবর পেয়ে কাগজ পুকুর গ্রামে যায় পুলিশ। সেখানে নিহত জাহাঙ্গীরের দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন স্বজনরা, পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় কেউ কেউ দু'জন হত্যার দায় চাপাচ্ছেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)র দিকে। কিন্তু বিজিবির কাছে হত্যার বিষয়টি সরাসরি অস্বীকার করেছেন বিএসএফ